E. Thesis / Dissertations
Permanent URI for this community
Browse
Browsing E. Thesis / Dissertations by Author "Ahamed, Mostak"
Now showing 1 - 3 of 3
Results Per Page
Sort Options
Item AFSAR AMEDER KATHASAHITYA : SAMAY O SAMAJER ABHIGHAT (NIRBACHITA UPANYAS O CHHOTOGALPA ABALAMBANE)Ahamed, Mostakশৈশবেই সাহিত্যচর্চাকে বাহন করে জীবনে পথচলার হাতিয়ার করেন যে সকল কথাশিল্পী তাঁদের মধ্যে আফসার আমেদ অগ্রগণ্য। পল্লিপ্রকৃতির স্নেহস্পর্শধন্য হাওড়া জেলার এক প্রত্যন্ত গ্রাম কড়িয়াতে জন্মগ্রহণ করা এই স্রষ্টা সারাজীবন সমাজের বঞ্চিত, অবহেলিত, নির্যাতিত মানুষের সমবেদনায় সমব্যথী থেকেছেন। বাঙালি আত্মপরিচয়ে আত্মশ্লাঘা অনুভব করা ও সাধারণ মানুষের মনোবিশ্লেষণধর্মী গবেষণায় কৃতিত্বের সঙ্গে সাফল্যলাভ আফসার আমেদকে বাংলা কথাসাহিত্যের গিরি শিখরে উপনীত করে। আফসার আমেদের কথাসাহিত্য নিয়ে আলোচনার ক্ষেত্রে প্রথমেই যে বিষয়টি সামনে আসে তা হল, তাঁর সমাজের পিছিয়ে পড়া, শোষিত, অত্যাচারিত জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানোর প্রবণতা— তাদের বাস্তব অবস্থান, মানসিকতাকে সাহিত্য প্রাঙ্গণে প্রতিস্থাপিত করার এক অনবদ্য প্রয়াস। সমাজের সেই নিম্ন ও নিম্নমধ্যবিত্ত সম্প্রদায়ের মানুষজনের চেতন-অবচেতন মনের আণুবীক্ষণিক বিশ্লেষণে তিনি সত্যিই প্রশংসনীয়। সময় ও সমাজের অভিঘাতে আফসার আমেদের কথাসাহিত্য নিয়ে সার্বিক আলোচনাকে একটি ভূমিকা, পাঁচটি অধ্যায় এবং শেষে উপসংহারের মাধ্যমে তুলে ধরতে চেয়েছি। প্রথম অধ্যায় ‘আফসার আমেদ : সংক্ষিপ্ত জীবন পরিচয়’-এ তাঁর শৈশব, কৈশোর, যৌবন তথা সারাজীবনের অম্লমধুর স্মৃতিআশ্রয়ী বিভিন্ন ঘটনা তথা লেখক হয়ে ওঠার অনুপ্রেরণা, অল্পবয়সেই লেখক হিসাবে স্বীকৃতিলাভ, দারিদ্র্যতাকে আজীবন পাথেয় করে চলার অপরিসীম সাহস, ধৈর্য, শিক্ষাজীবন, সাংসারিক পরিমণ্ডল, পুরস্কারপ্রাপ্তি ইত্যাদি বর্ণিত হয়েছে। দ্বিতীয় অধ্যায় ‘সমসময়ের বাংলা কথাসাহিত্য ও আফসার আমেদ’-এ লেখকের সমকাল তথা আশির দশকের বাংলা কথাসাহিত্যের ধারা এবং সেসময়ের বিশিষ্ট বাংলা কথাসাহিত্যিকদের মধ্যে তিনি নিজেকে কতটা প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন, সেকথাই আলোচিত হয়েছে। তৃতীয় অধ্যায় ‘আফসার আমেদের উপন্যাসে সময় ও সমাজের অভিঘাত’-এ বাংলা সাহিত্যে ব্যতিক্রমী রচনা হিসাবে লেখকের কিস্সা-উপন্যাসগুলির উপর আলোকপাত করা হয়েছে। এছাড়া, সমাজের বৈচিত্র্যধর্মী বিষয়ের নিরিখে লেখকের অন্যান্য নির্বাচিত উপন্যাসগুলির রূপকল্প নির্মাণ ইত্যাদি বিষয় এ অধ্যায়ে স্পষ্ট করা হয়েছে। চতুর্থ অধ্যায় ‘আফসার আমেদের ছোটোগল্পে সময় ও সমাজের অভিঘাত’-এ লেখকের অসামান্য সব ছোটোগল্প স্থান পেয়েছে। আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে বিচিত্র চরিত্রদের সমাবেশে আফসারের ছোটোগল্পগুলি বড়ো চমৎকারভাবে অঙ্কিত হয়েছে। পঞ্চম অধ্যায় ‘আফসার আমেদের কথাসাহিত্যে স্বতন্ত্রতা’-এ কথাসাহিত্যিক আফসার আমেদের উপন্যাস ও ছোটোগল্পগুলির বিষয়-আঙ্গিকগত বিশ্লেষণের পুঙ্ক্ষানুপুঙ্ক্ষ ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার নিরিখে তাঁর সৃষ্টিসম্ভারের স্বতন্ত্র দিকগুলি আলোচনা করা হয়েছে। ‘উপসংহার’-এ কথাকার আফসার আমেদের কথাসাহিত্যের সাফল্য-ব্যর্থতার তুলনামূলক আলোচনার মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে তাঁর স্থান নির্ণয়ের চেষ্টা করা হয়েছে।Item Sisirkumar Daser Moulik Bangla Sahitye Pratifalita Darshan O MananAhamed, Mostakশিশিরকুমার দাশের সর্বভারতীয় মান্যতা বৈদগ্ধ্যপূর্ণ পাণ্ডিত্যের কারণে হলেও সৃজনশীল সাহিত্যেও তিনি সমান পারদর্শী। বাংলা সাহিত্যের এমন কোনো শাখা নেই যার অলিন্দে তিনি স্বচ্ছন্দ পদচারণা করেননি। তাঁর হাত ধরে বাংলা সাহিত্যে সংযোজিত হয়েছে বহু অতুলনীয় সম্পদ। তা সত্ত্বেও তাঁর সৃজনশীল সাহিত্যগুলি আজও অনালোচিত, অচর্চিত। এমন একজন প্রতিভাবান মানুষের সমগ্র সৃষ্টি বিস্মৃতির অন্তরালে থেকে যাওয়া তাঁর ওপর যেমন অবিচার, পাশাপাশি অবিচার বাংলা সাহিত্যের প্রতি। তাই বিস্মৃতির অন্তরালে থাকা শিশিরকুমার দাশকে নতুন করে আবিষ্কার ও সাহিত্য সমাজের কাছে উপস্থাপন করার লক্ষ্যে তাঁর বৈচিত্র্যপূর্ণ সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের কাছে এই হাঁটুমুড়ে বসা। গবেষণা-সন্দর্ভটি ভূমিকা ও উপসংহার ব্যতিরেকে পাঁচটি অধ্যায়ে বিন্যস্ত। এছাড়া রয়েছে তিনটি পরিশিষ্ট অংশ। প্রথম অধ্যায়-এর শিরোনাম ‘শিশিরকুমার দাশের কবিতা: দর্শনগত প্রজ্ঞার প্রকাশ’। চারটি কাব্যগ্রন্থ ও বিভিন্ন অগ্রন্থিত কবিতায় সময়ের সঙ্গে পর্যায়ক্রমিকভাবে কবির কাব্যদর্শনের বিস্তর বাঁকবদল ঘটেছে। ফলে বদলে গেছে কবিতার ভাব, ভাষা ও নিহিত আত্মদর্শন। এই অধ্যায়ে তাঁর কবিতার এই বাঁকবদলের চিত্রই তুলে ধরা হয়েছে। দ্বিতীয় অধ্যায়-এর বিষয় ‘শিশিরকুমার দাশের নাটক: চেতনা ও প্রজ্ঞার দার্শনিক উদ্ভাসন’। দীর্ঘ পাঁচ দশক ধরে বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্র করে সমৃদ্ধ হয়েছে তাঁর নাট্যসাহিত্য। এই অধ্যায়ে মোট বিয়াল্লিশটি মৌলিক বাংলা নাটকের সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণ করে নাটকগুলিতে শিশিরকুমার দাশের যে দর্শনের প্রকাশ ঘটেছে তা তুলে আনা হয়েছে। তৃতীয় অধ্যায়-এর আলোচনা এগিয়েছে শিশিরকুমার দাশের তেরোটি বাংলা প্রবন্ধগ্রন্থ ও প্রায় শতাধিক অগ্রন্থিত প্রবন্ধগুলিকে কেন্দ্র করে। শিরোনাম ‘শিশিরকুমার দাশের প্রবন্ধ: বোধিচর্চার বহুমাত্রা’। চতুর্থ অধ্যায়-এর কেন্দ্রবিন্দু ‘শিশিরকুমার দাশের কথাসাহিত্য ও অন্যান্য আখ্যানধর্মী রচনা: সময়, সমাজ ও দর্শন’। এই অধ্যায়ে তাঁর দু-টি উপন্যাস, আটচল্লিশটি ছোটোগল্প, একটি আখ্যানগ্রন্থ, মুক্ত গদ্য ও ছদ্মনামে রচিত কিছু ব্যঙ্গাত্মক রচনা ঘিরে তাঁর সমাজ বিষয়ক ভাবনার সন্ধান করা হয়েছে। পঞ্চম অধ্যায়-এর ভাবনা বিস্তারলাভ করেছে শিশু-কিশোরকেন্দ্রিক ছড়া, উপন্যাস, নাটক ইত্যাদি সাহিত্যগুলিকে কেন্দ্র করে। শিরোনাম ‘শিশিরকুমার দাশের শিশু-কিশোর সাহিত্য: শিশু-কিশোর মনের বিচিত্র অবলোকন’। শিশিরকুমার দাশের সৃষ্টির সার্বিক মূল্যায়নের লক্ষ্যে পরিশিষ্ট ১ ‘শিশিরকুমার দাশের অনুবাদ: সীমা ও সম্ভাবনা (নির্বাচিত গ্রন্থ অবলম্বনে)’ অংশে তাঁর অনুবাদ গ্রন্থগুলি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। পরিশিষ্ট ২ অংশের ভাবনা— যৌথভাবে রচিত ‘শাশ্বত মৌচাক: রবীন্দ্রনাথ ও স্পেন’ এবং ‘বিতর্কিত অতিথি: রবীন্দ্রনাথ ও চীন’ গ্রন্থ দুটি। শিরোনাম ‘শিশিরকুমার দাশের ভাবনায় রবীন্দ্রনাথ: বিশ্বের দরবারে অভ্যর্থনা ও প্রত্যাখ্যান’। পরিশিষ্ট ৩ অংশে আছে শিশিরকুমার দাশের একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনপঞ্জি। এই পরিসরের শিরোনাম ‘শিশিরকুমার দাশের জীবন: কিছু উল্লেখযোগ্য তথ্য’।